সড়ক দুর্ঘটনা রোধ বা 'নিরাপদ সড়ক চাই' বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, সবাইকে Educationalblogbd.Com এ আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আশা করি মহান আল্লাহ তা'লার অশেষ রহমতে তোমরা সবাই ভালো আছো । আজকের আলোচনার বিষয় হলো সড়ক দুর্ঘটনা রোধ বা 'নিরাপদ সড়ক চাই' বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর । তোমরা যদি এই সংলাপটি মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে আজকের এই পোস্টি মনযোগ সহকারে সবাই পড় । চলো শুরু করা যাক আজকের বিষয় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ বা 'নিরাপদ সড়ক চাই' বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর  । 

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ বা 'নিরাপদ সড়ক চাই' বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর 


সুমন : শুভ সকাল।

সুজন : শুভ সকাল।

সুমন : কী রে বন্ধু কেমন আছিস? 

সুজন:  আছি ভালোই। তোর খবর কী, কেমন আছিস?

সুমন: আমি ভালো আছি । কিন্তু পত্রিকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পড়ে মনটা ভালো নেই । 

সুজন : আটজন নিহত! ভাবা যায়? প্রতিদিনই বাড়ছে এই দুর্ঘটনা ।

সুমন : হ্যাঁ, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে দেশে প্রতিদিন গড়ে তিন জন করে বছরে এক হাজারের বেশি লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়, পঙ্গুত্ব বরণ করে বছরে ৫ থেকে ১০ হাজার লোক।

সুজন:  সড়ক দুর্ঘটনা কী যে হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক তা কল্পনাও করা যায় না।

সুমন : ঠিকই বলেছিস। সেদিন নিজের চোখে দেখেছি এক ভয়াবহ দৃশ্য। আমি আর রাজু খাদে পড়া বাস থেকে একজনকে টেনে বের করলাম। দেখলাম লোকটার একটা হাত কেটে আলাদা হয়ে গেছে।
 
সুজন : এমন ভয়াবহ দৃশ্য প্রতিদিন কাউকে না কাউকে দেখতে হচ্ছে।

সুমন : সত্যিই তাই, দুর্ঘটনার ফকারণে আমরা প্রতিনিয়িত আত্মীয়স্বজন, মেধাবী মুখ, প্রিয় মানুষকে হারাচ্ছি। 
সুজন : সড়ক দুর্ঘটনায় অকালমৃত্যু বড় অস্বাভাবিক এবং খুবই বেদনাদায়ক। অথচ আমরা এ ব্যাপারে সচেতন নই, উদাসীন বলেই মনে হয় ।

সুমন : এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন ।

সুজন : ‘নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলন তো সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

সুমন : এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে ।

সুজন : হ্যাঁ, তা ঠিক। তবে সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চালানো অতিরিক্ত যাত্রী বহন । এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।


সুমন : শুধু তাই নয়, দক্ষতাহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের লাইসেন্স প্রদানে, শ্রমিক দৌরাত্ম্য কমাতে এবং ট্রাফিক আইন পালনেও তাদের কার্যকর কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সুজন : প্রশাসন ও জনগণের মিলিত শক্তিই 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলন সফল করতে পারে।

সুমন : এ জন্য আমাদের সকলেরই উচিত নিজে সচেতন হওয়া এবং অন্যকেও সচেতন করা।

সুজন : এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং মিডিয়া গণসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড, বিজ্ঞাপন, ডকুমেন্টারি ফিল্ম ইত্যাদি তৈরি করে প্রচারাভিযান চালাতে পারে।

সুমন: আমারও মনে হয় সবাই সচেতনভাবে এগিয়ে এলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

সুজন : তুই ঠিকই বলেছিস। চল সবাই মিলে সচেতনভাবে নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলন সার্থক করে তুলি ।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ সড়ক দুর্ঘটনা রোধ বা 'নিরাপদ সড়ক চাই' বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর