বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ রচনা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি প্রত্যেকে মহান আল্লাহ তা'লার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছো । আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ রচনা । আজকের এই পড়াটি যদি তুমি ভালো করে গুছিয়ে শিখতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যি এবাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ রচনাটি খুব মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে । তাহলে চলো আর দেরি না করে শুরু করা যাকঃ- 

বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ রচনা


বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ রচনা 

বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ

বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্লোগান হলো 'জয় বাংলা"। বাংলাদেশের অবিসংবাদী নেতা, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে প্রায় দশ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নির্দেশনা সংবলিত ঐতিহাসিক ভাষণের শেষে দৃঢ়কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন- 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম- জয় বাংলা।' তখন থেকেই এদেশের স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ জনসভায়, মিছিলে, প্রচারণায় 'জয় বাংলা' স্লোগানটি ব্যবহার করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতীয় স্লোগান হিসেবে অসাধারণ এক প্রেরণাসঞ্চারী শব্দমালা হলো 'জয় বাংলা'। সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে চিৎকার করে উচ্চারণ করতেন 'জয় বাংলা'। সাধারণ মানুষও সেই সময় যেকোনো সাফল্যের খবর শুনে 'জয় বাংলা' বলে আনন্দ প্রকাশ করতেন। আসলে 'জয় বাংলা' মানে তো বাংলার জয়, দেশের জয়, মানুষের জয়। বাঙালির এই তীব্র, সংহত ও তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগানের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, দেশ, ভাষার সৌন্দর্য ও জাতীয় আবেগ। ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্টের রায়ে 'জয় বাংলা'-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে বিবেচনা করার এবং সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সেই অনুযায়ী ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জয় বাংলা'-কে জাতীয় স্লোগান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২ মার্চ ২০২২-এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়— (ক) 'জয় বাংলা' বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে। (খ) সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ, দেশে ও দেশের বাইরে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্য রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে 'জয় বাংলা' স্লোগান উচ্চারণ করবেন। (গ) সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশ সমাপ্তির পর এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্যের শেষে শিক্ষকগণ ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ 'জয় বাংলা' স্লোগান উচ্চারণ করবেন। 'জয় বাংলা' স্লোগানটি বাংলার মানুষের শক্তি, সংগ্রাম, ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। জাতীয় জীবনে তাই 'জয় বাংলা’ স্লোগানের গুরুত্ব ও আবশ্যকতা অনস্বীকার্য।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ   বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ রচনা 

আশা করি আজকের এই বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান 'জয় বাংলা' অনুচ্ছেদ রচনার বিষয়ে তুমি ভালো ধারনা পেয়েছো । এই আর্টিকেলটি যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তুমি তোমার ফেইসবুক ফ্রেন্ডসদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেনা । এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।