প্রবন্ধ রচনাঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা ১৫ পয়েন্ট

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা শিক্ষামূলক ব্লগ বিডি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা । তোমরা যদি এই রচনাটিকে আত্নস্থ্য করতে চাও তাহলে মনযোগ সহকারে পুরো রচনাটি পড়ে নাও । চলো শুরু করা যাকঃ 

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা ১৫ পয়েন্ট


আধুনিক সভ্যতা মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও সাধনার ক্রমপরিণতি। মানুষ তার যুগ-যুগান্তরের স্বপ্ন ও সাধনার ফসল দিয়ে নির্মাণ করেছে এ সভ্যতা। এ সভ্যতার মতো বিজ্ঞানও মানুষের কঠোর সাধনার ফসল। প্রাচীন যুগের আগুন আবিষ্কার থেকে শুরু করে বর্তমান যুগের বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার সবই বিজ্ঞানের কল্যাণে সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞান আমাদের জীবনযাত্রায় এনেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। আমাদের প্রতিটি কাজের চালিকাশক্তি হলো এই বিজ্ঞান। ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে সারাবিশ্বে বিজ্ঞানের অভাবনীয় বিস্তৃতি ঘটে। সে সময়ই মানুষ প্রথম বাষ্পশক্তিকে কাজে ব্যবহার করতে শিখে। ক্রমে ক্রমে আসে বিদ্যুৎশক্তি, পেট্রোলিয়াম, পারমাণবিক শক্তি, প্রাকৃতিক শক্তি প্রভৃতি। বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার আমাদের জীবনযাত্রায় এনে দিয়েছে গতি, দিয়েছে শক্তি। তাই বিজ্ঞান ছাড়া আধুনিক জীবনের কথা ভাবাই যায় না।


প্রবন্ধ রচনাঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা ১৫ পয়েন্ট


পেজ সূচিপত্রঃ 




দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

ভূমিকা : 

সভ্যতার সূচনালগ্নে মানুষ ছিল অরণ্যচারী, গুহাবাসী। ক্রমে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ, জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সে হয়ে উঠল প্রভৃত ক্ষমতার অধিকারী, আধুনিক। বিজ্ঞান মানুষকে সংস্কার থেকে দিয়েছে মুক্তি, এনেছে অন্ধকার থেকে আলোকে, দিয়েছে নতুন জীবন। মানুষের অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি বিজ্ঞানের বিচিত্র পথে গমন করে মানবজীবনের জন্য এনেছে পরম কল্যাণ। বিজ্ঞান ঘুচিয়ে দিয়েছে দূর- দূরান্তের ব্যবধান, মানুষকে দিয়েছে ক্ষমতা, জীবনকে করেছে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যময়। বিজ্ঞানের কল্যাণেই গোটা পৃথিবী আজ মানুষের হাতের মুঠোয় ।

বিজ্ঞান কী :

'বিজ্ঞান' শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো 'Science'। 'Science' শব্দটি এসেছে 'Scio' শব্দ থেকে। 'Scio' অর্থ হলো জানা বা শিক্ষা করা। শাব্দিক অর্থে বিশেষ জ্ঞান হলো বিজ্ঞান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ প্রভৃতির মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞানই হলো বিজ্ঞান। পার্থিব জগতের নানা বিষয় নিয়ে গড়ে উঠেছে বিজ্ঞানের জগৎ। এ জগৎ ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষকে পৌঁছে দিয়েছে সভ্যতার স্বর্ণশিখরে।

বিজ্ঞানচেতনার প্রসার : 

সেই আদিম যুগে গোষ্ঠীবদ্ধ যাযাবর মানুষের জীবনে যুগান্তর আনে আগুনের আবিষ্কার আর কৃষির উদ্ভাবন। সে সময় গড়ে উঠল ছোট ছোট গ্রাম; উদ্ভাবিত হলো আদি কৃষিযন্ত্র 'লাঙল'। মানুষ খেতে জলসেচনের জন্য তার বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিকেও কাজে লাগাতে শিখল। শস্য সংরক্ষণ, ফসল থেকে আরও নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন— কার্পাস থেকে সুতা) তৈরি করতে শিখল। কুমোরেরা চাকা ঘুরিয়ে বানাতে শুরু করল মাটির পাত্র। সে সময় বয়ন শিল্পেরও উদ্ভব ঘটে। ভারী জিনিস সহজে উত্তোলন করার জন্য সে সময় মানুষ কপিকল, আলম্ব প্রভৃতি যন্ত্র তৈরি করেছিল। প্যাপিরাস জাতীয় নলখাগড়া থেকে মিসরের মানুষ প্রথম লেখার উপযোগী কাগজ তৈরি করে। ইরাক অঞ্চলের মানুষরা প্রথম চাকাযুক্ত গাড়ি তৈরি করে পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তর আনে। পানি তোলার উপযোগী বিশেষ ধরনের পাম্প এবং যন্ত্রচালিত ঘড়ি প্রথম আবিষ্কৃত হয় চীনদেশে। গ্রিসের মানুষ প্রথম পৃথিবী ও মহাকাশের মানচিত্র আঁকে। প্রাণিবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, স্থাপত্যবিদ্যা ও জ্যামিতির ক্ষেত্রে গ্রিক বিজ্ঞানীদের অবদান কম

ছিল না। অন্যদিকে বীজগণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, শল্যচিকিৎসা, রসায়নশাস্ত্র, জীববিদ্যা প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারত ও আরবদেশের বিজ্ঞানীরা যেসব তত্ত্ব উদ্ভাবন করেছিলেন, তা মানুষের জীবনযাত্রাকে যথেষ্ট সহজ করে দেয়।

মানবকল্যাণে বিজ্ঞান : 

প্রাগৈতিহাসিক মানুষের আগুন আবিষ্কারের দিন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত মানুষের অতন্দ্র সাধনা বিজ্ঞানকে করেছে সমৃদ্ধ, সভ্যতাকে করেছে গতিশীল। বাষ্পীয় শক্তিকে সে করেছে বশীভূত, বিদ্যুৎকে করেছে করায়ত্ত, মুঠোয় পুরে নিয়েছে পারমাণবিক শক্তিকে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মানুষের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এই বিজ্ঞান জড়িত। নিচে মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের কয়েকটি দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

দৈনন্দিন কাজে বিজ্ঞান : 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব বহুমুখী সুদূরপ্রসারী। ঘরে-বাইরে, পথে-ঘাটে, অফিসে- আদালতে, অনুষ্ঠানে, আমোদে, সংবাদে, সংলাপে সর্বত্রই বিজ্ঞান পরিব্যাপ্ত। জাগরণ থেকে শুরু করে নিদ্রাকর্ষণ পর্যন্ত সর্বত্রই বিজ্ঞানের স্পর্শ। টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, স্টোভ, হিটার, বৈদ্যুতিক পাখা, বিজলি বাতি, ফ্রিজ, এয়ারকুলার, লিফট, কম্পিউটার, তেল, সাবান, পাউডার, পারফিউম, আয়না, চিরুনি, ইস্ত্রি প্রভৃতি ছাড়া জীবনযাপনের কথা চিন্তাই করা যায় না। আমোদ-প্রমোদের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানই আমাদের নির্ভরস্থল। টেলিভিশন, ডিশ অ্যান্টেনা এখন গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে দেখা যায়। গৃহকার্যের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস বিজ্ঞানেরই আবিষ্কার।

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান : 

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের দান বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিজ্ঞানের কল্যাণেই উষর মরু হয়েছে সরস ও উর্বর, উঁচু নিচু পাহাড়ের বন্ধুর ভূমি পরিণত হয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত সমভূমিতে, নদী পেয়েছে নতুন গতি । কৃষি উৎপাদনের সামগ্রিক ব্যবস্থায় বিজ্ঞান অবদান রেখেছে। বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সার, সেচ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের প্রয়োগ হচ্ছে । বিভিন্ন কৃষিজ ফসল নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের এবং বেশি পরিমাণে ফসলের উদ্ভাবন করা হয়েছে। অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের প্রয়াসে নিবিড় চাষের জন্য যান্ত্রিক সরঞ্জামের আবিষ্কার কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লবের সূচনা করেছে। গোবর সার, কম্পোস্ট সার ও সবুজ সারের স্থলে রাসায়নিক সার আবিষ্কারের ফলে একরপ্রতি উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্ভব হয়েছে ধান ও গমের ক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল বীজ আবিষ্কার । এছাড়া নানা ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে পোকা দমনকারী রাসায়নিক দ্রব্য।

চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান :

 চিকিৎসাজগতে বিজ্ঞান অসাধ্য সাধন করেছে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে মৃত্যুর সংখ্যা এখন হ্রাস পাচ্ছে। আবিষ্কৃত হয়েছে যুগান্তকারী সব প্রমুখপত্র যেমন- স্ট্রেপটোমাইসিন, ক্লোরোমাইসিন, পেনিসিলিন, ফেলোমাইসিন, প্যারাসিটাম প্রভৃতি ওষুধ। এক্সরে, ইসিজি, এনজিওগ্রাম, আলট্রাসনোগ্রাম প্রভৃতি আজ মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের দিয়েছে বাঁচার আশ্বাস। কমিক সংযোজন, বৃত্ত, অস্থিমজ্জা, হূৎপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃতের মতো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে চিকিৎসাশাস্ত্র আজ বিজ্ঞানের অবদানে সমৃদ্ধ। কেবল রোগ নিরাময়েই নয়, রোগপ্রতিরোধের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। পোলিও, যক্ষ্মা, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, ডিপথেরিয়া, হাম, বসন্ত, কলেরা প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধে আবিষ্কৃত হয়েছে টিকা।

শিক্ষা ও জ্ঞানবিস্তারে বিজ্ঞান : 

শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর প্রায় সবই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। মুদ্রণযন্ত্র, কাগজ, কলম, ক্যালকুলেটর সবই বিজ্ঞানের দান। কম্পিউটার বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। শিক্ষার্থীরা এখন কম্পিউটারেই শিখতে পারছে অনেক কিছু। তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন বিখ্যাত বই, জার্নাল, বিখ্যাত শহর-বন্দর, বাণিজ্য, দেশ ইত্যাদি সম্পর্কে মুহূর্তেই জানতে পারছে এবং বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারছে।

পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিজ্ঞান : 

বিজ্ঞান দূরকে করেছে নিকট। বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ আবিষ্কার করেছে বাস, ট্রাক, ট্রেন, উড়োজাহাজ প্রভৃতি। তাই আমরা এখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেতে পারি। এমনকি রকেটের সাহায্যে মানুষ এখন মহাশূন্যে যাচ্ছে। টেলিফোন, মোবাইল ফোনের সাহায্যে আমরা পৃথিবীর একপ্রান্তে বসে অন্যপ্রান্তের মানুষের সাথে কথা বলতে পারছি। টেলিভিশন, ফ্যাক্স, রেডিও, ই-মেইল ইত্যাদির মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে বিশ্বের যেকোনো খবর এখন আমাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। অপটিকস ফাইবার বা আলোক তন্তু দিয়ে এখন টেলিফোনে কথা বলার পাশাপাশি একে অন্যের ছবি দেখতে পারছে।

আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান : 

আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান তার এক নতুন ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা মহাকাশে এক ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করেছেন, এর ফলে আগে থেকেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারছে। বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম আবহাওয়া তৈরির কৌশলও আবিষ্কার করেছেন। শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞান : শিল্পক্ষেত্রেও বিজ্ঞান যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ফলে বড় বড় শিল্প-কারখানা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এখন কেবল একটি সুইচের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। অল্প সময়ে পাওয়া যাচ্ছে ব্যাপক উৎপাদন ।

গবেষণায় বিজ্ঞান :

বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে বিজ্ঞান উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। গবেষণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিজ্ঞানেরই আবিষ্কার। দূরবীক্ষণ যন্ত্র, অণুবীক্ষণ যন্ত্র প্রভৃতি আরও বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র বিজ্ঞানের কল্যাণেই তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

মহাশূন্যের রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞান :

মানুষের কৌতূহলী মন বিজ্ঞানের বলে আজ মহাশূন্যের রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যাপৃত হয়েছে। মানুষ চাঁদে গিয়েছে, মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালিয়েছে। বিভিন্ন গ্রহ সম্পর্কে জানার জন্য মানুষ মহাশূন্যে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। মহাকাশে পাঠিয়েছে বিভিন্ন উপগ্রহ যান, রকেট ও অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞান : 

জনসংখ্যা সমস্যা বিশ্বের এক নম্বর সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বিজ্ঞানেরই আবিষ্কার।

কুসংস্কারচ্ছন্নতা থেকে মুক্তি দিতে বিজ্ঞান : 

বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়ে সবকিছু খোলা চোখে বিচার করতে পারছি। বিজ্ঞানের কারণে আমাদের মন যুক্তিবাদী হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞান আধুনিক মানুষকে চলার পথে গতি দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, তাকে করেছে যুক্তিবাদী।

বিজ্ঞানের কুফল : 

বিজ্ঞানের কল্যাণকর আবিষ্কারের বিপরীতে রয়েছে এর সর্বনাশা ধ্বংসাত্মক রূপ। গত শতাব্দীতে সংঘটিত জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির ধ্বংসযজ্ঞ মানুষের আদিম প্রবৃত্তির বর্বরতাকেও অতিক্রম করেছে। বিজ্ঞানের উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ আজ তৈরি করছে আণবিক বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, জীবাণু বোমা এবং অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র । বিজ্ঞানের ধ্বংসাত্মক শক্তির কাছে হার মেনেছে মানুষ।

উপসংহার : 

আজ বিজ্ঞানের জয় জয়কার সর্বত্র। মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞানের দান অপরিসীম। মানুষ যে উন্নতির শিখরে আরোহণ করেছে তা বিজ্ঞানেরই অবদান । বিজ্ঞানীদের মহান আত্মত্যাগের ফলেই অর্জিত হয়েছে এ সাফল্য। তবে আমাদের জীবনে বিজ্ঞানের সার্থক ও ইতিবাচক প্রয়োগ ঘটাতে হবে এবং বিজ্ঞানের আলোয় সবাইকে আলোকিত করতে হবে। বিজ্ঞানকে যদি ধ্বংসাত্মক ব্যবহার না করে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা যায় তবে মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হবে। 

Chhoyful Alam

Assalamu Alaikum to All. Blogging is my dream, I have started blogging about education and technology in Bengali and English languages to fulfill that dream. Everyone will support me. I will try my best to publish high quality content In Sah Allah

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال