একটি গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি প্রস্তুত কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, Educationalblogbd.Com এ আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি। আপনারা যদি এই দিনলিপিটি আপনাদের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চান তাহলে আজকের গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপিটি আপনাদের জন্য । চলুন শুরু করা যাক আজকের গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপিটি।  

ekti-grammo-mela-dekhar-onubhuti-bekto-kore-dinolipi


গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি

১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
রাত ১০ : ৩০ মিনিট
গ্রাম্য মেলা

আমার নানাবাড়ি বাঘা এসেছি। আমার উদ্দেশ্য নানাবাড়ি বেড়ানো নয়। আমার উদ্দেশ্য ছিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গ্রাম্যমেলা দেখা। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই পায়ে হেঁটে দুই মামাতো ভাইকে সাথে নিয়ে মেলা দেখতে রওয়ানা দিই। নানাবাড়ির পাশে রাইতা বাজার সংলগ্ন একটি প্রাচীন বটগাছের নিচে এই মেলাটি বসে। মেলাটি সাত দিন ধরে চলে । দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে। দোকান ঘিরে শুরু হয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ঘন হয়ে পড়ছে শীতের কুয়াশা। কিন্তু অধিক লোকসমাগমে শীত খুব একটা অনুভূত হচ্ছে না। মিষ্টি, জিলাপি, পিঠার ঘ্রাণ ভাসছে বাতাসে। আমরা সেদিকে গেলাম। তিন ভাই পেটপুরে পিঠা দিয়ে নাশতা করলাম। মেলায় যে জিনিসটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে তা হলো আমাদের ঐতিহ্য কুটির, মৃৎ ও কাঠের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী যেমন— শীতলপাটি, পাখা, নকশিকাঁথা, হাঁড়ি, পাতিল, পুতুল ইত্যাদি। মেলার আরও যে বিষয়টি আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে তা হলো গ্রাম্য খেলা যেমন- হাডুডু, পুতুল নাচ, মোরগের লড়াই যেগুলো আমি পূর্বে কখনো দেখিনি। সারাদিন মেলায় ঘুরেছি, বটগাছের নিচে বসে বাউলের গান শুনেছি। বাড়ির জন্য জিলাপি-মিষ্টি কিনেছি। এই গ্রাম্যমেলাটি আমার স্মৃতিপটে সারাজীবন আঁকা থাকবে। 

বাগাইহাটি, রাজশাহী ।

উল্লেখিত আর্টিকেলের শেষ কথাঃ  একটি গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি প্রস্তুত কর ।