পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপি প্রস্তুত কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, Educationalblogbd.Com এ আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপি। আপনারা যদি এই দিনলিপিটি আপনাদের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চান তাহলে আজকের পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপিটি আপনাদের জন্য । চলুন শুরু করা যাক আজকের পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপিটি
 
pohela-boisakh-or-bengali-nobobhorsho-udajaphan-dinolipi

পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপি

১৪ এপ্রিল, ২০২২

রাত ১১ : ৪০ মিনিট

পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন


এবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে এসেছি গ্রামে। ঠিক গ্রাম নয়, ছোট শহর বলা যায়। সঙ্গে এসেছেন আব্বা, আম্মা, ভাই-বোন, মামা সবাই। ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফুরফুরে বাতাসে কিছুক্ষণ সবুজ প্রকৃতিতে মিশে গেলাম। তারপর পুকুরে গোসল সেরে নতুন পাঞ্জাবি-পাজামা পরে বেরিয়ে পড়লাম। এখানকার স্কুল মাঠের পাশে বিশাল বটগাছের নিচে উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সবুজ ঘাসের উপর বসে কখনো নবীনদের সম্মিলিত কণ্ঠে, কখনো একক কণ্ঠে গান শুনে ভালো লাগল। তিন রাস্তার মোড়ে গেরুয়া পোশাক পরা বাউলরা মন মাতানো গান গাইছেন, শুনলাম কিছুক্ষণ। এর মধ্যেই চাচাত ভাই টেনে নিয়ে চলল নদীর পাড়ে। নৌকাবাইচ হবে। দশ-বারোটা নৌকা চমৎকারভাবে সাজানো, ঢোল-খঞ্জনি বাজিয়ে গান হচ্ছে। স্থানীয় এমপি সাহেব এসে গেছেন। শুরু হলো বাইচ। নৌকার দুদিকে বসা রঙিন পোশাক পরা লোকেরা বৈঠা ফেলছে একতালে আর তর তর করে নৌকা ছুটে চলেছে। কারা জিতল জানা হলো না। আলোচনা সভায় যোগ দিলাম। আলোচকরা খুব চমৎকার বললেন। নতুন কিছু বিষয় জানলাম। লাঞ্ছ প্যাকেট দেওয়া হলো, খেয়ে নিলাম। তারপর ভাই-বোনেরা মিলে আব্বা-আম্মার সঙ্গে ছুটলাম মেলায়। হাটের মাঠে মেলা। অনেক লোকের সমাগম, হরেক রকম দোকান, নানা রকম আওয়াজ। এর মধ্যে ঘুরে ঘুরে দরদাম করে নানা জিনিস কিনতে এবং দেখতে খুব ভালো লাগছিল । সন্ধ্যা হয়ে আসছে। সুতরাং সারাদিনের মিষ্টি আনন্দ নিয়ে এবার বাড়ি ফেরা।

মানিকগঞ্জ ।

উল্লেখিত আর্টিকেলের শেষ কথাঃ  পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপি ।