বৃক্ষ রোপন অনুচ্ছেদ রচনা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি প্রত্যেকে মহান আল্লাহ তা'লার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছো । আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো বৃক্ষ রোপন অনুচ্ছেদ রচনা  । আজকের এই পড়াটি যদি তুমি ভালো করে গুছিয়ে শিখতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যি একটি সূর্যাস্তের দৃশ্য অনুচ্ছেদ রচনাটি খুব মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে । তাহলে চলো আর দেরি না করে শুরু করা যাকঃ- 

বৃক্ষ রোপন অনুচ্ছেদ রচনা


বৃক্ষ রোপন অনুচ্ছেদ রচনা 

বৃক্ষরোপণ অভিযান

জীবনের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য বৃক্ষ অনিবার্য। বৃক্ষ মানবজীবনের এমন এক বন্ধু, যার কোনো বিকল্প নেই। মানুষ বুঝে অথবা না বুঝে প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করছে। বনের পর বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। পরিবেশ হয়ে উঠেছে ভারসাম্যহীন। তাই ভারসাম্য রক্ষার্থে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা একান্ত প্রয়োজন । কিন্তু সে তুলনায় আমাদের বনভূমি খুবই কম। বাংলাদেশের মোট আয়তনের মাত্র ১৬ ভাগ বনভূমি, যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। তারপরও উপর্যুপরি জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কাঠের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে, ফলে বনের পর বন উজাড় হচ্ছে। বনভূমির আয়তন ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে যা খুবই উদ্বেগের ব্যাপার। এই অভাব পূরণের জন্য বাংলাদেশ সরকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। আরও বিস্তৃত আকারে এ পদক্ষেপ নেওয়া আশু দরকার। মূলত পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনায়নের জন্য কার্যকর ভূমিকা আবশ্যক। যেদিন সকলে বুঝবে বৃক্ষ ছাড়া মানুষের একদিনও চলে না, প্রতিটি নিশ্বাসের যে অক্সিজেন, তা বৃক্ষই উৎপাদন করে, সেদিনই কেবল 'পরমবন্ধু বৃক্ষ' নিধন রোধ হয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযান দ্রুত সম্প্রসারিত হবে।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ   বৃক্ষ রোপন অনুচ্ছেদ রচনা 

আশা করি আজকের এই বৃক্ষ রোপন অনুচ্ছেদ রচনার বিষয়ে তুমি ভালো ধারনা পেয়েছো । এই আর্টিকেলটি যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তুমি তোমার ফেইসবুক ফ্রেন্ডসদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেনা । এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।