মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা,বর্ণনা জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় মুসলীম ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি রাসুল (সাঃ) এর কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা । আপনারা অনেকেই খোঁজাখোঁজি করে থাকেন রাসুল (সাঃ) এর কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা হাদিসকেবলা পরিবর্তনের ঘটনা জনতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন । 

কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা


মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা

কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা

হুযুরে পাক (সাঃ) মক্কা শরীফে অবস্থানকালে আল্লাহতায়ালার নির্দেশক্রমে খানায়ে কা’বা অভিমুখে মুখ করিয়া নামায আদায় করিতেন। কিন্তু মদীনায় হিজরতের পরে আল্লাহরই নির্দেশানুসারে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরিয়া নামায পড়িতে শুরু করেন। এইভাবে এক বৎসর চারিমাস অতবাহিত হইবার পর ইয়াহুদীগণ কথায় কথায়  মুসলমানদিগকে এইরূপ বলিয়া ঠাট্টা ও বিদ্রূপ করিতে লাগিল যে, তোমাদের মুসলমানদের স্বকীয়তা বা নিজস্ব ভিত্তি বলিতে কি আছে? নামায আদায়ের ব্যাপারটাই দেখ না, তোমরা আমাদের কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরিয়া নামায আদায় করিতেছ। অথচ তোমাদের রাসূল আবার আমাদেরকে অন্য দৃষ্টিতেও দেখিতেছেন । তাহাদের কথায় হুযুরে পাক (সাঃ)-এর মনে এইরূপ আকাঙ্ক্ষার উদয় হইল যে, আল্লাহ পাক যদি মুসলমানদের নামায আদায়ের জন্য খানায়ে কা'বাকে কিবলা মনোনয়ন করিতেন, তাহা হইলে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বড়ই ভাল হইত ।

আল্লাহতায়ালা তাঁহার প্রিয় হাবীবের মনের এই বাসনা উপলব্ধি করিয়া উহা পূর্ণ করিয়া দেন । শাবান মাসের পনের তারিখ মঙ্গলবার মসজিদে বনু সলিমায় হুযুরে পাক (সাঃ) তাঁহার সহচরদিগকে লইয়া জোহরের নামায আদায় করিতেছিলেন। দুই রাকাত নামায পড়িয়া হুযুরে পাক (সাঃ) তৃতীয় রাকাতের রুকুতে গিয়াছেন, এই সময়ে ফেরেশতা জিব্রাইল আসিয়া আল্লাহর আদেশ জানাইয়া দিলেন যে, “মুসলমানদের জন্য খানায়ে কা'বাকে কিবলা করা হইল। এই নির্দেশ শুনামাত্র হুযুরে পাক (সাঃ) রুকুর মধ্যেই খানায়ে কা'বা অভিমুখে মুখ ফিরাইয়া দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত মুক্তাদীও হুযুরে পাক (সাঃ)-এর অনুসরণ করিলেন । এইভাবে আল্লাহ পাকের মহাপবিত্র খানায়ে কা'বাই পুনরায় মুসলমানদের নামাযের কিবলা সুনির্দিষ্ট হইয়া গেল ।

রোযার হুকুমঃ ইয়াহুদীগণ তাঁহাদের ধর্মগ্রন্থ তৌরাতে একজন মহানবীর আগমনের কথা জানিতে পারিয়াছিলেন; সুতরাং হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) যখন মদীনায় তাশরীফ আনিলেন তখন তাহারা তাঁহাকে আল্লাহ তায়ালার সেই প্রতিশ্রুত নবী বলিয়া স্বীকার করিল । কিন্তু অতি সত্বরই তাহারা হিংসার বশবর্তী হইয়া আবার ভিন্ন মত পোষণ করিতে লাগিল এবং মুসলমানদের সহিত শত্রুতা শুরু করিল ।

হুযুরে পাক (দঃ) মদীনায় আসিয়া ইয়াহুদী ধর্মবিধির সহিত ইসলামের ঐক্য স্থাপনের জন্য ইয়াহুদীদের উপবাস প্রথা গ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু যখন ইয়াহুদী ধর্মের সঙ্গে তাঁহাকে সম্পর্ক ছিন্ন করিতে হইল, তখন তিনি তাহাদের উপবাস প্রথার পরিবর্তে আল্লাহর দরবারে নিজেদের জন্য স্বতন্ত্র প্রথার প্রার্থনা জানাইলেন। হিজরতের দেড় বৎসর পরে আল্লাহ মুসলমানদের প্রতি রমজান মাসের রোযা ফরজ করিলেন। রমজানের পরবর্তী মাসের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে রোযা শেষ এবং শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদুল ফিতর নামে ধর্মীয় মহোৎসবের প্রচলন শুরু হইল । সোর্সঃ কোরআন হাদিসের আলোকে পঁচিশজন নবী-রাসুলের জীবনী, মোহাম্মদ এম.এ. সাইফুল ইসলাম (যুক্তিবাদী চাঁদপুরী)  

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর কেবলা পরিবর্তনের ঘটনা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url