বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ "বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ" । বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ অনুচ্ছেদ for class 6,7,8,9,SSC and HSC

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি প্রত্যেকে মহান আল্লাহ তা'লার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছো । আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ অনুচ্ছেদ  রচনা । আজকের এই পড়াটি যদি তুমি ভালো করে গুছিয়ে শিখতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যি বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ অনুচ্ছেদ  রচনাটি খুব মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে । তাহলে চলো আর দেরি না করে শুরু করা যাকঃ- 


বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ



বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ অনুচ্ছেদ রচনা 

বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ  অনুচ্ছেদ

গ্যাস হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। প্রাকৃতিক গ্যাস হচ্ছে শক্তির প্রধান উৎস। ১৯৫৫ সালে হরিপুরে দেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। বাংলাদেশে সর্বমোট ২২টি গ্যাসক্ষেত্র ও ২৩টি গ্যাস ব্লক রয়েছে। ১৯৫৭ সালে হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। উত্তোলন ও মজুদের দিক থেকে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র দেশের সর্ববৃহৎ। এযাবৎ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে মোট মজুদের পরিমাণ ২৮.৪০ টি.এস.এফ. । বর্তমান উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ২০.৫১ টি.এস.এফ. । ব্যাপেক্স-এর হিসাবমতে গ্যাসের অজ্ঞাত মজুদের পরিমাণ ৩২.১ টি.এস.এফ. হবে। প্রতিদিন বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ গ্যাস উত্তোলিত হয়। উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদের দিক থেকে কৈলাশটিলা সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫২.১২%, শিল্প কারখানায় ১৪.৬১%, সার উৎপাদনে ২১.৬১% এবং বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালির কাজে ১০.০৮% গ্যাস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বস্তুত আমাদের গ্যাস সম্পদের পরিসংখ্যান অনেক বৃহৎ। তবে গ্যাস সম্পদের যত্নশীল ব্যবহার আমাদের বাংলাদেশকে নিঃসন্দেহে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ   বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ অনুচ্ছেদ রচনা 

আশা করি আজকের এই বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ অনুচ্ছেদ রচনার বিষয়ে তুমি ভালো ধারনা পেয়েছো । এই আর্টিকেলটি যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তুমি তোমার ফেইসবুক ফ্রেন্ডসদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেনা । এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ । 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url